খুঁজুন
মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২

আয়কর রিটার্ন নিয়ে কঠোর হচ্ছে এনবিআর

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: রবিবার, ৪ মে, ২০২৫, ৬:১৭ অপরাহ্ণ
আয়কর রিটার্ন নিয়ে কঠোর হচ্ছে এনবিআর

যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেন না কিংবা নানাভাবে কর ফাঁকি দেন বা কর অব্যাহতি নেন- তাদের বিষয়ে কঠোর হচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর)। তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে। তাদের কাছ থেকে কর আদায় করতে এখন থেকে কর কর্মকর্তাদের লক্ষ্যমাত্রা (টার্গেট) দেওয়া হবে।

রোববার (৪ মে) সকালে রাজধানীতে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা জানান এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।

বনানীতে একটি হোটেলে আসন্ন বাজেটে রাজস্ব খাত ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রবৃদ্ধি নিয়ে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সংগঠন ফরেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি বা এফআইসিসিআই, সনদপ্রাপ্ত হিসাববিদদের সংগঠন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) ও জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (জেবিসিসিআই)।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাসরুর রিয়াজ ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট প্রতিষ্ঠান স্নেহাশীষ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির অংশীদার স্নেহাশীষ বড়ুয়া।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, শুরু থেকেই বিপুল পরিমাণে কর অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবছর যে পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা হয়, সমপরিমাণ অর্থ কর অব্যাহতির কারণে চলে যায়।

এনবিআরের তথ্যমতে, কর শনাক্তরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলেও বিপুলসংখ্যক মানুষ রিটার্ন জমা দেন না। সে কারণে নিয়মিত করদাতাদের ওপর চাপ তৈরি হয়। ফলে যারা রিটার্ন জমা দেন না, তাদেরও জবাবদিহির আওতায় আনার উদ্যোগ নিচ্ছে সংস্থাটি।

এ প্রসঙ্গে অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কমিশনারেটে নির্দেশনা দেওয়া হবে- টার্গেট দেওয়া হবে, এ বছর ও পরবর্তী বছরের জন্য। যাতে তারা নন-ফাইলার্সদের (যারা রিটার্ন জমা দেন না) থেকে কী পরিমাণ কর সংগ্রহ করতে পারল, রিবেটার্সদের (ছাড় পাওয়া) থেকে কত কর সংগ্রহ করতে পারল, তা বোঝা যাবে। বলা হয়, এনবিআরের ৯২ শতাংশ রাজস্ব টিডিএসসহ বিভিন্ন মাধ্যম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসে। কর কর্মকর্তারা মাত্র ৮ শতাংশ রাজস্ব সরাসরি সংগ্রহ করেন। এই ব্যবস্থায় এখন থেকে কর কর্মকর্তাদের দক্ষতারও প্রমাণ পাওয়া যাবে।

আবদুর রহমান বলেন, শুরু থেকে বিপুল পরিমাণে কর ছাড় দেওয়া হচ্ছে। যে পরিমাণ রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়, সমপরিমাণ অর্থ কর ছাড়ের কারণে হারাতে হচ্ছে। কিন্তু সরকারের অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ ঋণের বড় চাপ/বোঝা (বার্ডেন) আছে। এ অবস্থায় এভাবে কর অব্যাহতি দিয়ে টিকে থাকা সম্ভব নয়।

এ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারম্যান আরও বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই যথাযথ নিয়ম মেনে এসব ছাড় দেওয়া হয়নি। নতুন করছাড় নীতিতে এই সক্ষমতা সংসদের হাতে থাকবে। আগামী বাজেটে ব্যবসা সহজীকরণের নানা উদ্যোগ থাকবে, তবে রাজস্ব আহরণও কমবে না- সেদিকে নজর থাকবে।

দুর্নীতি মাস্টারমাইন্ড     প্রধান সহকারী বজলুর রশিদ এর  বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে   

ক্রাইম রিপোর্টার লিখন
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ৬:৩৯ অপরাহ্ণ
   
দুর্নীতি মাস্টারমাইন্ড     প্রধান সহকারী বজলুর রশিদ এর  বিরুদ্ধে ঘুষ আর দুর্নীতি অভিযোগ উঠেছে   

ঝিনাইদহ উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ের সাবেক প্রধান সহকারী বজলুর রশিদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এমনকি শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে বছরের পর বছর চাকরি করে যাচ্ছেন তিনি। এ নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি কর্তৃপক্ষ।

বজলুর রশিদ বর্তমানে যশোর উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৯২ সালে এমএলএসএস পদে এসএসসি পরীক্ষার জাল সনদ দিয়ে তৎকালীন এক কর কর্মকর্তার যোগসাজশে চাকরি নেন বজলুর রশিদ। এরপর থেতেই একের পর এক অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। কর্মজীবনে ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় চাকরি করেছেন।

সে সময় করদাতাদের ফাইল আটকিয়ে মোটা অংকের টাকা অদায় করতেন। অবৈধ পন্থায় আয়ের এসব টাকা দিয়ে নামে-বেনামে ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকায় তিনতলা ভবন, যশোরে ডেভলপার ব্যবসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বজলুর রশিদ ১৯৮২ সালে কুষ্টিয়ার মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষার উত্তীর্ণের সনদ জমা দিয়ে চাকরি নেন। তবে ওই নামের কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হদিস মেলেনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায়। অভিযোগের বিষয়ে বজলুর রশিদ বলেন, ‘আমাকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বহু মানুষ এগুলো লিখেছে। এসব লিখে কোনো লাভ নাই।’

এ ব্যাপারে জানতে খুলনা বিভাগীয় কর কমিশনার শ্রাবণী চাকমার ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।বিস্তারিত আরও জানতে আমাদের সাথে থাকুন সারা বাংলাদেশের দুর্নীতি বাজ দের মুখোশ খুলে দিতে আমরা আছি আপনাদের মাঝে

স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মানা যায় না: আমিনুল হক

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ১:০৪ পূর্বাহ্ণ
   
স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা মানা যায় না: আমিনুল হক

গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল আহসান সাধন হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। পাশাপাশি অবিলম্বে দ্রুত হত্যাকারীদের সনাক্ত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান তিনি। 

 

সোমবার (২৬ মে) বিকেলে মোহাম্মদপুর শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে আন্তঃথানা ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন, মিরপুরের পল্লবীতে নিজ নির্বাচনী আসনের সাধারণ মানুষের মাঝে ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ এবং সকালে মিরপুর উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আমিনুল হক বলেন, ৫ আগস্টের পর স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে এই ধরনের হত্যাকাণ্ড আশানুরূপ নয়। আমরা এই বর্বর হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। বিএনপি নেতাকে এভাবে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করবে -এটা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

দুর্বৃত্ত যে হোক না কেনো আইনের আওতায় এনে বিচার করতে হবে-উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করছি।দ্রুত সময়ে দুর্বৃত্তদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত বিচার করার জোর দাবি করছি। তবে আমরা ইতোমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা বলেছি। তারা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কারা জড়িত রয়েছে? তার প্রেক্ষাপট কি? পেছনে কি ঘটনা রয়েছে? আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করছে।

দেশের নাগরিকদের জানমাল রক্ষা করা সরকারের সাংবিধানিক দায়িত্ব উল্লেখ করে বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, আমরা আশা করবো, সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সর্বদা কার্যকর পদক্ষেপ নিবে।

এসময় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি সদস্যসচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহবায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, আকতার হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, আফাজ উদ্দিন, হাজী মো. ইউসুফ, মো. শাহ আলম, মাহাবুব আলম মন্টু, মহানগর সিনিয়র সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মহানগর সদস্য আলী আকবর আলী, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা,  শামীম পারভেজ, নরুল হক ভূইয়া নূরু, হাজী নাসির উদ্দীন, হাফিজুল হাসান শুভ্র, এমএস আহমাদ আলী, তাসলিমা রিতা, পল্লবী থানা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হোসাইন খান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ আলী গাজী, পল্লবী থানা যুবদলের সভাপতি নূর সালাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, পল্লবী থানা ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম নজু, মোহাম্মদপুর থানা বিএনপি আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমু, যুগ্ম আহবায়ক মীর মো. কামাল হোসেন, ৩৪ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি এ্যাড. মাসুম খান রাজেশ, সাধারণ সম্পাদক ওসমান রেজা, ৩৩ নং ওয়ার্ড বিএনপি সিনিয়র সহসভাপতি ওসমান গনি সেন্টু, আদাবর থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল হোসেন সরকার, গুলশান থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদ, জাসাস পল্লবী থানা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বাবু, তুরাগ থানা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক রিপন হাসান খন্দকার, থানা বিএনপি আহ্বায়ক সদস্য আব্দুল আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: মঙ্গলবার, ২৭ মে, ২০২৫, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ
   
সচিবালয় এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

বাংলাদেশ সচিবালয় ও এর আশপাশের এলাকায় সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।

সোমবার (২৬ মে) রাতে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১০ মে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার কর্তৃক জারি করা বিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যেকোনো প্রকার সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ রয়েছে।

এমতাবস্থায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে উক্ত নির্দেশনা মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ জানানো হয়।

 

You cannot copy content of this page